You are currently viewing এপিটাফ হুমায়ূন আহমেদ উক্তি : ১৫ টি অসাধারণ উক্তি

এপিটাফ হুমায়ূন আহমেদ উক্তি : ১৫ টি অসাধারণ উক্তি

হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সেরা উপন্যাস গুলোর মধ্যে একটি উপন্যাস এপিটাফ। এটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো। একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজেকে কতটা বিলিয়ে দেন তা কল্পনাতীত। অসুস্থ সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই উপন্যাসের মূল কাহিনী।
নাতাশা(আসল নাম টিয়া) নামের মেয়েটি “মেনিনজিওমা” রোগে আক্রান্ত। দেশে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া প্রায় অসম্ভব। দেশের ডাক্তারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমেরিকায় নিয়ে মেয়েকে অপারেশন করানো হবে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় টাকা। একজন মা কিভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে, নিজের জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সুখের কথা ত্যাগ করে, মেয়ের জন্য নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে টাকার ব্যবস্থা করে সেটি তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসের মাধ্যমে।

খুব ঘনিষ্ঠ দুজন মানুষের মাঝখানেও বোধহয় পর্দা থাকে। কারো পর্দা খুব ভারি, কারোটা আবার হালকা স্বচ্ছ মসলিনের। সব দেখা যায়- তারপরেও অনেক কিছুই দেখা যায় না।

মানুষ বুদ্ধিমান, এইজন্যই তার সাহস কম। বুদ্ধিমানরা সাহসী হয়না।

মেয়েরা অনেক শক্ত ধরনের হয়। ছেলেরা তা হয় না। বাইরে থেকে তাদের শক্ত মনে হলেও আসলে তারা তা না।

তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি সেটা কি তুমি জানো? জান না,তাই না?
আমিও জানি না। ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো তাহলে সেই ভালোবাসায় সমস্ত পৃথিবী তলিয়ে যেত।এমনকি হিমালয় পর্বতও।

“দু গুণা দত্তর চৌগুনা জুজার” কথাটার মানে হচ্ছে দুগুন দিলে চারগুণ ফেরত পাওয়া যায়। তুমি যদি কাউকে দুগুণ আনন্দ দেও তাহলে চারগুণ আনন্দ ফেরত পাবে। আবার কাউকে দুগুণ কষ্ট দিলে চারগুণ কষ্ট ফেরত পাবে।

মানুষের যেমন ‘অসুখ’ হয় সেরকম ‘সুখ’ হবার নিয়ম থাকলে খুব ভালো হতো। পৃথিবীতে নানান ধরনের অসুখের মতো নানান ধরনের সুখ থাকত। ছোট সুখ, বড় সুখ। একেক সুখের একেক নাম। কোন মা’র মেয়ের বড় ধরনের সুখ হলে, সেই মা আনন্দে অস্থির হয়ে চারদিকে টেলিফোন করে খবর দিত- আমার মেয়ের না এই সুখ হয়েছে।
সত্যি?
হ্যা, সত্যি। পরীক্ষায় ধরা পড়েছে। কি যে আনন্দ হচ্ছে ভাই!

বিবাহিত মেয়েদের সঙ্গে পুরনো প্রেমিকের দেখা হলে মেয়েরা চট করে রেগে যায়।

তোমার নানি একজন অসাধারণ মহিলা। কিন্তু তিনি আদর্শ মানব নন। আদর্শ মানব তিনিই হবেন- যিনি তার কর্ম নিজের এবং নিজের সংসারের বাইরে ছড়িয়ে দেবেন। যার দ্বারা বিরাট একটা মানব গোষ্ঠী উপকৃত হবে।

মানুষের করুণা গ্রহণ করার মতো লজ্জা পৃথিবীর অন্য কোনো কিছুর মধ্যে নেই।

১০

সেই অসাধারণ যে নিজের অসাধারণত্ব শুধু নিজের পরিবার নয়, সকল মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।

১১

যারা সুন্দর তারা সবমসময় সুন্দর, হাসিতেও সুন্দর কান্নাতেও সুন্দর।
—হুমায়ূন আহমেদ (এপিটাফ)

১২

আমার মৃত্যুর পরে, আমার এপিটাফে লিখে দিও : জননীজন্মভূমি ছেড়ে, এই অচেনা নগরে তার
মৃত্যু হয়েছিল।

১৩

বেশিরভাগ মানুষের স্বভাব হচ্ছে বিড়ালের মতো। তারা সুখের সময় পাশে থাকে। দুঃখ-কষ্ট যখন আসে তখন দুঃখ কষ্টের ভাগ নিতে হবে এই ভয়ে চুপি চুপি সরে পড়ে। তাদের কোনো দোষ নেই– আল্লাহ মানুষকে এমন করেই তৈরি করেছেন।

১৪

বিপদে অর্থ যে সাহস দেয় সেটা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না।

১৫

কেউ যখন খুব কষ্টে থাকে তখন প্রশ্ন করে সেই কষ্টের ব্যাপারটা জানতে নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই কষ্টের উপর প্রলেপ পড়ে। তখন জিজ্ঞেস করা যায়। প্রলেপ পড়ার আগেই কষ্টটা জানতে চাইলে সেই কষ্টটা অসহনীয় হয়ে উঠে।

Leave a Reply