জঁ-জাক রুশো ছিলেন একজন জেনেভান দার্শনিক, লেখক ও সুরকার। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন সমগ্র ইউরোপ জুড়ে আলোকায়নের অগ্রগতির পাশাপাশি ফরাসি বিপ্লবের নানা দিক এবং আধুনিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত চিন্তাধারার বিকাশকে প্রভাবিত করেছিল। প্রিয় পাঠক এই ব্লগে বিখ্যাত দার্শনিক রুশোর সেরা উক্তি গুলো আপনার সামনে তুলে ধরেছি।
১#
প্রকৃতির স্রষ্টার হাত থেকে যা কিছু আসে তা সবই সৎ এবং মঙ্গলময়।
২#
জ্ঞান হল সকল প্রকার সম্পদের জননী।
৩#
শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ হল শিক্ষা।
৪#
শিক্ষার লক্ষ্য হল প্রকৃতির নিয়মে ব্যক্তির বিকাশ।
৫#
প্রকৃতির কাছে ফিরে যাও।
৬#
প্রকৃতির স্রষ্ঠার হাত থেকে যা কিছু আসে তা সবই সৎ এবং মঙ্গলময়।
৭#
মানুষকে স্বাধীন হতে বাধ্য কর।
৮#
আত্না কলুষিত হতে শুরু করলেই মন আকারে সুরু হতে থাকে।
৯#
আমি অন্য কারও মতো নই। তবে আমি বিশ্বাস করি, অন্যদের চেয়ে ভালো না-হতে পারি- তবে, আলাদা
১০#
বাস্তবতার পৃথিবী সীমাবদ্ধ, কিন্তু কল্পনার জগৎ অসীম।
১১#
দাসত্বময় শান্তির চেয়ে বিপদসঙ্কুল স্বাধীনতা অনেক ভালো।
১২#
যে অল্প জানে সে বেশি কথা বলে, অন্যদিকে যে বেশি জানে সে চুপ থাকে।
১৩#
মানুষের জীবনে শৈশব হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১৪#
আত্মা কলুষিত হতে থাকলে মন আকারে সরু হতে থাকে।
১৫#
দুর্বল দেহ মনকে দুর্বল করে দেয়।
১৬#
সমাজ ও সমাজের বিলাসিতা থেকেই জন্ম নেয় মানববিদ্যা, প্রযুক্তি, ব্যবসাবাণিজ্য, পাণ্ডিত্য এবং সেই সব বাহুল্য যা শিল্পের বিকাশ ঘটায় কিন্তু একই সাথে সমাজকে সমৃদ্ধ ও ধ্বংস করে..বিখ্যাত জাতিসমূহের প্রাচুর্য তাদেরকে যে ক্লেদাক্ত দুঃখ-দুর্দশার দিকে ঠেলে দেয় এই হচ্ছে তার কারণ। একদিকে শিল্প ও মানববিদ্যা যতই উন্নতি লাভ করে, অন্যদিকে করের বোঝায় জর্জরিত শ্রমে-ক্ষুধায় কাতর অনাদৃত কৃষক ততই রুজির সন্ধানে শহরমুখী হয়। আমাদের নগরগুলি যতই দৃষ্টিনন্দন হয় ততই গ্রামাঞ্চল বিরান হতে থাকে। অনাবাদী জমির পরিমাণ বাড়ে। নাগরিক হয় ভিখারি বা ডাকাত, আর ওদের জীবনের ইতি হয় ফাঁসির মঞ্চে বা আবর্জনাস্তুপে। এভাবে রাষ্ট্র একদিকে ফুলেফেঁপে ধনী হয়, অন্যদিকে হয় জনশূন্য বিরান। প্রবল প্রতাপ, সাম্রাজ্য এভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলে সমৃদ্ধির সৌধ আর ডেকে আনে জনজীবনে অবলুপ্তি।
১৭#
মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মেছে কিন্তু সর্বত্র সে শৃঙ্খলিত।
১৮#
শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ হলো শিক্ষা।
১৯#
শিক্ষাদানের কাজ বাগানের মালির মতো।